হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে চট্টগ্রাম জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৭১৭ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণকারী হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা।এছাড়া নগরের মধ্যে হালিশহর এলাকায়ও সমান সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৭১৭ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৪১৮ এবং উপজেলা এলাকায় ২৩৬ জন।
১৪ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হাটহাজারী উপজেলায় ৫০ জন। যা শতকরা ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলায় ২৮ জন, পটিয়া উপজেলায় ২১ জন, বোয়ালখালীতে ২০ জন ও রাউজান উপজেলায় ২০ জন, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৯ জন, সাতকানিয়া উপজেলায় ১৭ জন এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১৪ জন, মিরসরাইয়ে ৯ জন ও লোহাগাড়া উপজেলায় ৯ জন, আনোয়ারায় ৮ জন ও চন্দনাইশ উপজেলায় ৮ জন, বাঁশখালী উপজেলায় ৭ জন এবং সন্দ্বীপ উপজেলায় ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে ।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে হালিশহর এলাকায়। এ এলাকায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ জন। পাশাপাশি কোতোয়ালী এলাকায় ৪৬ জন, পাঁচলাইশ এলাকায় ৩৬ জন এবং চান্দগাঁও এলাকায় ৩৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হামিদুল্লাহ মেহেদি বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা করোনার সংক্রমণের বড় কারণ। এছাড়া করোনায় মৃত্যু হওয়া বেশিরভাগেরই অন্য কোনো রোগ রয়েছে। তাই করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য জটিলতাগুলো বেড়ে যায়। সুতরাং ডায়াবেটিস, ক্যান্সার আক্রান্ত ও হৃদরোগীদের ব্যাপারে অধিক সতর্ক হওয়া জরুরি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণ, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
Discussion about this post