হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিনামূল্যে গরিব-অসহায় ৫৪৭ জন শ্রবণপ্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশই শিশু।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে স্কুলছাত্র অপূর্ব চক্রবর্তীকে ব্যয়বহুল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাউন্ড প্রসেসর বিনামূল্যে প্রদানকালে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সময়মত শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করলে শিশুরা কানে শুনতে পারে, কথা বলতে পারে, এমনকি তারা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। তাই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিষয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেবা চালু রয়েছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিএসএমএমইউ বিনামূল্যে প্রদান করছে। এর ফলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজে বোঝা না থেকে তারা সমাজের মূল স্রোতাধারার অংশ হিসেবে জনসম্পদে পরিণত হচ্ছে।
অপূর্ব চক্রবর্তীকে ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে এবং স্কুলে লেখাপড়া করছে।
কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কর্মসূচির পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ পর্যন্ত ৫৪৭ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই শিশু।
তিনি জানান, শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অধিকমাত্রায় কার্যকরী। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষ কিশোর ও তরুণ বয়সের শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যকরী হতে পারে যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সিন্ডিকেট মেম্বার ও অটোল্যারিংগোলজি হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানাই লাল সাহা প্রমুখ।
Discussion about this post