হার্টবিট ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে পাঁচ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের সাত জনই রাজশাহীর। বাকি ছয় জনের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের একজন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁ ও পাবনার একজন করে রয়েছেন।
করোনা মৃত পাঁচ জনের মধ্যে রাজশাহীর দুই জন, নাটোরের দুই জন ও পাবনার এক জন। তাদের মধ্যে নয় জন পুরুষ ও চার জন নারী। আর সাত জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের দুই জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের এক জন রয়েছেন।
চলতি মাসের প্রথম তিন দিনে রাজশাহী মেডিক্যালে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২ জনে। তাদের মধ্যে ২২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে গত মাসে এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪০৫ জন মারা যান। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১৮৯ জন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৪ জন। শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪০৫টি বেডের বিপরীতে ৪৭৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ২০ জন।
এদিকে রাজশাহীতে এক দিনে করোনা সংক্রমণ কমেছে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শুক্রবার রাতে দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
গত বুধবার শনাক্তের হার ছিল ৩৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এছাড়া গত মঙ্গলবার ৩২ দশমিক ০৬ শতাংশ, সোমবার ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, রবিবার ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, শনিবার ২৯ দশমিক ছিল করোনা শনাক্তের হার।
রামেক ল্যাব সূত্র জানায়, শুক্রবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৃথক দুটি ল্যাবে দুই জেলার ৫৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ আসে ১৪৯ জনের। রাজশাহী জেলা ছাড়াও চাঁপাইনবাগঞ্জের ১৮০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
উল্লেখ্য, ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। শনাক্তের হার ৬০ শতাংশের উপরে উঠলে গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে সেটা দুই দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে।
Discussion about this post