হার্টবিট ডেস্ক
আগামীকালের মধ্যে বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১০-১৫ হাইফ্লো নাজাল ক্যানুলা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২ জুলাই বগুড়ার করোনা বিশেষায়িত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার সংকট থাকায় অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে সাতজন করোনা রোগী মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া রক্তে ঘনীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ৮৭-এর নিচে থাকা আরও ১০ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, হাসপাতালটির কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিটে মাত্র দুটি ক্যানুলা থাকলেও একটি অকেজো। ফলে বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) রাত ৮টা থেকে শুক্রবার (০২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টায় অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে ওই সাত রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
মৃতরা হলেন- বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার আলী জাহিদ (৬৫), শিবগঞ্জ উপজেলার মীরা বেগম (৩৫) ও আবদুল হান্নান (৬৫), সারিয়াকান্দির টুকু মন্ডল (৬৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবির রাবেয়া বেগম (৬০), নওগাঁর বদলগাছির আবদুল মতিন চৌধুরী (৮২) এবং সিরাজগঞ্জ সদরের লিলি চৌধুরী (৫৫)।
২৫০ শয্যার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, করোনা বিশেষায়িত এ হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ২০০ রোগী। শুক্রবার সকালেও ২২৩ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত মার্চে এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে অন্তত ২০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার প্রয়োজন থাকলেও আছে মাত্র দুটি। এর মধ্যে একটি অকেজো।
তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয় বিষয়টি অস্বিকার করেছেন। তিনি বলেন, এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিটে মূল্যবান হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার সংকট থাকলেও কেউ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাননি। একজন রোগী প্রতি মিনিটে ১৫ লিটার অক্সিজেন পাচ্ছেন। মৃতরা সকলে বয়োবৃদ্ধ, ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত। এছাড়া তাদের সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিলো।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা বরাদ্দ চেয়ে দফায় দফায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তবে এখনও বরাদ্দ মেলেনি।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গউসুল আজিম চৌধুরী জানান, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মোট ১১ জন মারা গেছেন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ১০০ জন।
করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট খুবই সংক্রমণশীল। এর কারণে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
Discussion about this post