হার্টবিট ডেস্ক
২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ৬৪২ কোটি ৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। গত অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪৯০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন, প্রকল্পসহ উন্নয়ন বাজেট ও গবেষণা বাজেট এবং রূপকল্পসমূহ ঘোষণা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যায়ের বি ব্লকের নীচ তলায় ডা. মিল্টন হলে বাজেট পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
এসময় বাজেট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
আগামী অর্থবছরের বিএসএমএমইউর ঘোষিত ৬৪২ কোটি ৮ লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ৩৯৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ৪৬৭ কোটি ১৭ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ হবে।
এর আগে একই স্থানে সিন্ডিকেটের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিএসএমএমইউর ৮৩তম সিন্ডিকেট সভায় সিন্ডিকেটের সকল সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে বাজেট অনুমোদিত হয়।
বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ১৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। তবে এই ঘাটতি মেটাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে পুরোটাই চাওয়া হবে। বাজেটে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতে ১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া বেতন-ভাতা খাতে মোট ৩৫৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিএসএমএমইউ শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ দেশের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। জনসাধারণের মাঝে এ সেবা পৌঁছে দেওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই লক্ষ্য পূরণেই ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট .প্রস্তুত করা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৯ ডলার, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল দিক থেকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে বিস্তারিত কর্মসূচী এবং মাস্টার প্লান হাতে নিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব হ্রাস পেলেই সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু করা হবে। এছাড়া অচিরেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সংকট নিরসন হবে এবং দেশেই এই ভাইরাসটির প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আবদুস সোবহানসহ ডীন ও বিভিন্ন বিভাগের অফিস প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post