হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনা মোকাবিলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩২ জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
বিশেষ অবদানের জন্য বিভাগের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন, সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, জুনিয়র কনসালটেন্ট ও আবাসিক মেডিকেল অফিসাররা এ সম্মাননা পেয়েছেন।
রোববার (২৭ জুন) দুপুরে নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোস্তফা খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস.এম হুমায়ুন কবীর, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডির ল্যাব ইনচার্জ ডা. শাকিল আহমেদ, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন বিপাস খীসা, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রব প্রমুখ।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের নেতৃত্বে বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন, ন্যাজাল ক্যানোলা, আইসিইউ বেডসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট থাকলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসার কারণে এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে বলে বক্তারা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফায় বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদানের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা জীবনবাজি রেখে সেবা দিচ্ছেন বলেই এখানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং করোনার প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি।
ঘরের বাইরে সবসময় মাস্ক পরিধান ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ সবাই সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে তৃতীয় ধাপ মোকাবিলার মাধ্যমে করোনাযুদ্ধে জয়ী হওয়া যাবে জানিয়ে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক মানোন্নয়নে প্রতিযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি কাজ করবে সে প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে অনেকদূর এগিয়ে গিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।
Discussion about this post