হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনার উধ্বর্গতিতে পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের তালিকা। গ্রামগঞ্জ কিংবা শহর সবখানেই উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৮৮ জন মারা গেছেন।
আর চট্টগ্রাম জেলাতে একমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হার সর্বোচ্চ খুলনায় ৬৫ শতাংশ। শেষ মুহূর্তে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেই আক্রান্তরা হাসপাতালে ছুটছেন।
কোনো লকডাউনেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। হাসপাতালগুলোতে কিছুক্ষণ পরপরই আসছে রোগী। বেশিরভাগই অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। আবার আইসিইউতে সিট না পেয়ে আশংকাজনক অবস্থায় রোগীকে নিয়েই হাসপাতাল ছাড়ছেন স্বজনরা। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে অভিযোগ স্বজনদের।
গ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এখন সংক্রমণ। পরিস্থিতি চরমের দিকে গেলেও লোকজনের মধ্যে নেই সচেতনতার বালাই।
খুলনা:গত ১৫ দিনের ব্যবধানেই দেশে এক হাজার করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর কয়েকদিনেই শনাক্তের হার ২২ এ ঠেকেছে।খুলনার তিনটি হাসপাতালে একদিনে করোনায় ও উপসর্গে ১৭ জন মারা গেছেন। শনাক্তের হার ৬৫ শতাংশ। ভয়াবহ এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ রীতিমত বেসামাল বলে জানান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।আর রোগীদের সঠিক সময়ে সেবা না পাওয়ার অভিযোগের শেষ নেই এসব হাসপাতালে বলে জানান রোগীর স্বজনরা।
রাজশাহী:রাজশাহী অঞ্চলে করোনার মৃত্যুর মিছিল থামছে না তালিকা। রাজশাহী মেডিকেলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে রাজশাহীর ৪ জন, নাটোরের ৪ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন। শনাক্ত হার ২৯ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা- সাতক্ষীরা:অপর সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় সংক্রমণের অবস্থারও দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় ও উপসর্গে ৯ জন মারা গেছেন। আর সাতক্ষীরায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। একদিনে মারা গেছেন ৮ জন।
যশোর-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ:যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ঊচ্চ ঝুঁকিতে থাকা যশোরে ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।আর কুষ্টিয়ায় বেড়েই চলেছে মৃত্যু ও শনাক্তের হার। একদিনে মারা গেছেন ৫ জন। শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর ঝিনাইদহে মারা গেছেন ৩ জন।
চট্টগ্রাম:বিভাগভিত্তিক হিসাবে মৃত্যুর অবস্থান ঢাকার পরই চট্টগ্রামের। বন্দর জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন মারা গেছেন যা একমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩শ’ জন।এছাড়াও উত্তরের ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ঠেকেছে ৪৫ শতাংশে। জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আর বগুড়া ও নাটোরে ৪ জন করে মারা গেছেন।
Discussion about this post