সুস্থ ও ঝরঝরে থাকার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন ভাত, আলু ও মিষ্টি, এই তিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার। ভাতের ক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দেন বাদামী চাল বা ব্রাউন রাইস খাওয়ার। একইভাবে ডায়েট মেনে চললে ব্রাউন ব্রেড ও ব্রাউন সুগার খেতে বলা হয়। কারণ ব্রাউন ব্রেডে ফাইবার বেশি থাকে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা ব্রাউন সুগার খেতে পারেন। কেন সাদা চিনির বদলে ব্রাউন সুগার খেতে বলা হয়?
ব্রাউন সুগার আসলে কী?
পুষ্টিবিদদের মতে, সাধারণ চিনি ও ব্রাউন সুগারে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। এই দুই খাবারেই রয়েছে ক্যালোরি। তবে স্বাদ, রং ও তৈরির প্রক্রিয়ায় পার্থক্য রয়েছে। ব্রাউন সুগার নামে যে বস্তু চিনি, সেটি সাদা চিনির অংশ। গুড় থেকে তৈরি হয় এই চিনি। তবে এটি সাদা চিনির মতো বেশি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় না। তাই এই চিনি প্রস্তুতের পরও সামান্য অপরিশোধিত থাকে। তবে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে তেমন ক্ষতিকর নয়।
ব্রাউন সুগার কীভাবে তৈরি করা হয়?
আখ থেকে চিনি তৈরির পর গুড় আলাদা করে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর সেই গুড় থেকেই অপসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে পাওয়া যায় ব্রাউন সুগার। অর্থাৎ একরকম চিনিকেই ব্রাউন সুগার বলা হয়। এতে সালফার থাকে না একেবারেই। তবে ব্রাউন সুগারের গুঁড়া হিসেবে যা পাওয়া যায় তা সাদা চিনি দিয়েই তৈরি। তবে তার সঙ্গে গুড় মেশানো হয়। সাদা চিনিতে সালফার শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়।
ব্রাউন সুগার খেলে যেসব উপকারিতা মিলবে
স্বাদের দিক থেকে দুই রঙের চিনিতে পার্থক্য থাকে অনেকটাই। আবার ব্রাউন সুগারে গুড়ের পরিমাণ বেশি তাই এতে পাওয়া যায় ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। অপরদিকে সাদা চিনি অনেক বেশি পরিশোধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার কারণে তাতে এ ধরনের কোনো উপকারী উপাদানই থাকে না। বাজারে ব্রাউন সুগারের নামে অনেক রকমই চিনি বিক্রি হয়। বাজারে ব্রাউন সুগার নামে অনেক ধরনের চিনি পাওয়া যায়। তাই কেনার আগে আসল ব্রাউন সুগার চিনে কিনতে হবে।
ব্রাউন সুগার চিনবেন যেভাবে
ব্রাউন সুগারে সাধারণ চিনির মতো ছোট ছোট দানা হয় না। এই চিনির দানা তুলনামূলক বড় হয়। রংও সাদা থাকে না, হালকা বাদামী থাকে। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক মেশানো থাকে না। স্বাদ খুব বেশি মিষ্টি হয় না।
Discussion about this post