হার্টবিট ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬৮ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৩০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৫৪ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬ টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৮২ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৯১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮১ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও ২৬ জন নারী। তাদের ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে সাতজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আটজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২ হাজার ৫৯০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৭২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৫২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৬ হাজার ২২০ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
Discussion about this post