হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা। সংকট মোকাবেলায় আবুল খায়ের গ্রুপ মেডিক্যাল অক্সিজেন সহায়তা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করেছে।সিভিল সার্জন বা জেলা প্রশাসকের চাহিদাপত্র অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় লিকুইড (তরল) অক্সিজেন সরবরাহ করছে এ শিল্পগ্রুপের একেএস লিমিটেডের অক্সিজেন প্লান্ট।
চট্টগ্রামের একেএস লিমিটেডের এজিএম মো. শামসুদ্দোহা জানান, শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আবুল খায়ের গ্রুপ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১৮ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিনামূল্যে রিফিল করে দিয়েছে। প্রতিটি ১০-২২ হাজার টাকা দামের ৫ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার গ্যাসসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও করোনা আইসোলেশন সেন্টারকে অনুদান দিয়েছে।
তিনি জানান, করোনায় অক্সিজেন সংকট শুরুর পর প্রথম দিকে আমরা ১ দশমিক ৪ কিউবিক মিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করেছি। পরে ৭ দশমিক ৫ কিউবিক মিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করি।
প্রতিদিন ২৬০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহত্তম এ অক্সিজেন প্লান্ট থেকে নিয়মিত হাসপাতালগুলো মেডিক্যাল অক্সিজেন সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি), আগ্রাবাদের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, আন্দরকিল্লার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকা, ভাটিয়ারি, রামু, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন সেনানিবাসের হাসপাতাল, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল, জয়পুরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম, বরিশাল, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীর বিভিন্ন হাসপাতালের অক্সিজেন রিফিল করেছি আমরা। আবুল খায়ের গ্রুপের নিজস্ব উদ্যোগে ২০টি হাসপাতালে বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।
অসুস্থ মানুষের প্রয়োজনে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে আবুল খায়ের গ্রুপের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে জানান তিনি।
Discussion about this post