হার্টবিট ডেস্ক
শুক্রবার (১৮ জুন) সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন করোনার ডেল্টা ধরণ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের ধরন ডেল্টা নিয়ে শঙ্কা ছিল শুরু থেকেই। এবার সে শঙ্কার কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তারা বলছে, করোনার এই ধরনটি বর্তমানে গোটা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করছে।শুক্রবার (১৮ জুন) সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন করোনার ডেল্টা ধরণ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
গতবছর ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ক্রমেই মিউটেশনের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী স্ট্রেইন তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ডেল্টা প্লাস।সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে রেকর্ড রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর জন্য এ ডেল্টা ধরনটিকেই দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ ধরনটির দাপটের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।ঢাকায় কভিড-১৯ রোগীদের দুই-তৃতীয়াংশের শরীরেই ডেল্টা ধরন পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর, বি)।
গত মে মাসের শেষ এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬০ জনের নমুনার জেনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া যায়।এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের টালি অনুসারে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিশ্ব এ ভয়ানক মাইলফলক ছুঁয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলোতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। আর করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ প্রাণঘাতী রূপ নিলেও কোনো কোনো দেশে টিকার ঘাটতি দেখা গেছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে মৃত্যু বেড়ে ২০ লাখে পৌঁছাতে এক বছর সময় লেগেছে। কিন্তু পরবর্তী ২০ লাখ মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ দিনে।মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষ পাঁচ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া ও মেক্সিকো।
বিশ্বের মোট মৃত্যুর অর্ধেকটাই হয়েছে এসব দেশে। এছাড়া পেরু, হাঙ্গেরি, বসনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও জিবরাল্টারেও উচ্চ মৃত্যুহার দেখা গেছে।মার্চে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।প্রতি ১০০ সংক্রমণের ৪৩টি এসেছে এই অঞ্চল থেকে। গত সপ্তাহে মৃত্যুর হারে শীর্ষ ৯টি দেশ ছিল দক্ষিণ আমেরিকার।
Discussion about this post