পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা
সন্তান জন্মের পরেই মা-বাবার চিন্তা হয়ে যায়, কীভাবে তাদের মেধার বিকাশ করা যায়। শুধু চিন্তিত হলেই চলবে না, আমাদের জানতে হবে কোন ধরনের খাবার বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সাহায্য করে থাকে।
মেধা বিকাশে কিছু কিছু খাবার সাহায্য করে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম ওটস মিল্ক, যেটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হাই-ফাইবার সমৃদ্ধ, আয়রনও রয়েছে। আয়রন বাচ্চাকে যথেষ্ট সজাগ থাকতে সাহায্য করে। সকালে নাশতায় যদি বাচ্চাকে ওটস মিল্ক খাওয়ানো যায়, তাহলে এটি একটি যথেষ্ট পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার।
এ ছাড়া রয়েছে মাছ। মাছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, ওমেগা থ্রি, যেটি স্মৃতিশক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট তৈরি করে এবং যথেষ্ট স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে পারে। আরেকটি ইমপরট্যান্ট জিনিস রয়েছে মাছে, যাকে বলা হয় ডিএইচএ, ডোকোসা হেক্সানয়েড অ্যাসিড, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করে ডিএইচএ। আমরা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ডিএইচএ দিয়ে থাকি, কিন্তু আমরা যদি প্রচুর মাছ খেয়ে থাকি, সন্তানের প্রতিদিনের খাবারে যদি আমরা মাছের ভাগ রেখে থাকি, তাহলে ডিএইচএর অভাব পূরণ করা যায়।
আরেকটি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে দই। প্রতিদিন অন্তত একবেলা যদি সন্তানকে দই খাওয়ানো হয়, তাহলে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বাচ্চাকে যথেষ্ট প্রাণবন্ত রাখে। বাচ্চা চঞ্চল থাকে ক্যালসিয়ামের কারণে।
বাদাম একটি অন্যতম খাবার। বিকেলের নাশতায় কিন্তু আমরা বাচ্চাদের বিভিন্ন ডেজার্ট আইটেমে বাদামটা দিতে পারি। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এটিও বাচ্চাদের ব্রেন ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করে। জন্মের পর থেকে প্রথম পাঁচ বছর পর্যন্ত যদি আমরা বাচ্চাদের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের মেন্যুতে রাখি, তাহলে কিন্তু বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সহজেই সহযোগিতা হয় এবং বাচ্চাদের শুধু মেধা বিকাশ করলেই চলবে না, স্মৃতিশক্তি যাতে ধরে রাখতে পারে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
Discussion about this post