হার্টবিট ডেস্ক
রাজধানীজুড়ে চলছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ। আইসিডিডিআরবি’র গবেষণায়, ঢাকায় শনাক্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর ৬৮ শতাংশের দেহে মিলেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। মে ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহজুড়ে গবেষণা চালায় প্রতিষ্ঠানটি। এমন অবস্থায় ঢাকার পরিস্থিতি খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের মতো হওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
আঞ্চলিক লকডাউনসহ নানা পরিকল্পনা নেওয়া স্বত্বেও কমানো যাচ্ছে না দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর করোনা সংক্রমণ।
একদিকে বাড়ছে নতুন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মাঝে কাঙ্ক্ষিত সচেতনতার অভাবও লক্ষণীয়।এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর এমন পরিস্থিতির মাঝে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজধানী ঢাকার পরিস্থিতি।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবি’র সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকায় শনাক্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ৬৮ শতাংশের দেহে অস্তিত্ব রয়েছে ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্টের। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা গত ২৫ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে ঢাকার ৬০ জন কোভিড রোগীর নমুন সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্স করেছে।
এদের মধ্যে অন্তত ৪১ জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে সংক্রমিত ছিলেন। এ ছাড়া ২২ শতাংশের নমুনায় সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট।এমন পরিস্থিতিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণকাল উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর প্রভাব বেশি পড়বে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমান বলেন, ঢাকায় এখন ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণের সময়কাল চলছে। ঢাকায় যারা এখনও ভ্যাকসিন পায় নাই, যারা এখনও করোনা আক্রান্ত হননি তারা এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রামিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকায় যদি সংক্রমণ কম হলেও, ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব পড়বে, সেখানে সংক্রমণ বাড়বে। সংকট মোকাবিলায় লকডাউন, আইসোলেশন, টেস্ট বাড়ানোসহ টিকা কার্যক্রম বাড়ানো ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমান বলেন, পরিস্থিতি যদি মোকাবিলা করতে হয়, তাহলে যখন হাসপাতালগুলোর বেড ক্যাপাসিটি ৮০ ভাগ পূরণ হয়ে যাবে তখনই আমাদের একটা লকডাউন দিতে হবে। এ ছাড়া এখন টেস্ট বহু গুণে বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে যেভাবে হোক সিংহভাগ লোককে ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে হবে।গত ৮ মে দেশে প্রথম ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
Discussion about this post