হার্টবিট ডেস্ক
তামাক সেবনের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর করোনার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ মারা যান বলে উল্লেখ করেছেন মুজিববর্ষ ও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, তামাকমুক্ত বিশ্ব গড়ি’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার ডা. আব্দুল মালিক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বর্ডান জোগরানা, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ।
সভায় বক্তারা বলেন, ধূমপান বিষপান। ধূমপানের পক্ষে একটিও ভালো কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। ধূমপানে মানুষের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত অঙ্গের ক্ষতি হয়। ধূমপানের কারণে মানুষের শরীরে প্রায় ৭০টি ক্যান্সারের জীবাণুর সৃষ্টি হয়। যারা তামাক সেবন করেন তারা নিজেদের ও তাদের আশপাশের মানুষেদেরও ক্ষতি করেন। বর্তমান করোনা অতিমারিতেও ধূমপায়ীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তামাক সেবনে প্রতিবছর করোনার চেয়ে বেশি লোক মারা যান।
তারা আরও বলেন, শুরু হয় ধূমপান দিয়ে, যার শেষ পরিণতি হয় মাদক গ্রহণ। মাদকের পরিণামও ভয়াবহ মহামারির মতো। আমাদের সন্তান ঐশি সে মাদকে আসক্ত হয়ে নিজের জন্মদাতা বাবা-মাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অনেক সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির সন্তানরাও মাদকে আসক্ত। মাদক সেবনের ফলে মানুষের জীবনী শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
সন্তানের তামাক ও মাদক সেবনের কারণে জন্মদাতা বাবা-মাকে কান্না করতে হয়। জন্মদাতা বাবা-মাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়।
সভা থেকে বলা হয়, তামাকের কারণে আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যান, ক্ষতি হয় অনেক অর্থের। তামাকের ক্ষতির কোনো শেষ নেই। তাই আমাদের তামাক উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। তামাকের বিকল্প অনেক ফসল আছে, আমাদের সেগুলো চাষ করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন রয়েছে, তবে আইন প্রয়োগের থেকেও বেশি প্রয়োজন সবাইকে তামাকের বিরুদ্ধে সচেতন করে গড়ে তোলা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে করণীয় উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (বিশ্ব স্বাস্থ্য অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম।
Discussion about this post