হার্টবিট ডেস্ক
প্রতিদিনই বাড়ছে সীমান্তের জেলাগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা । ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জেলায় মারা গেছেন ২৭ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা রাজশাহীতেই ১৩ জন মারা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনেও মিলছে না সুফল। এছাড়া অবস্থা বেগতিক চুয়াডাঙ্গায়।শনাক্তের হার ৬৬ শতাংশ।
আর ঝিনাইদহে ৪৫ শতাংশের বেশি করোনায় আক্রান্ত।দেশে করোনা সংক্রমণ ৬৭তম সপ্তাহেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন রোগী শনাক্ত হার, মৃত্যু- সবই বেড়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন রোগী বেড়েছে ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
একই সময়ে মৃত্যু বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। সীমান্তবর্তী ৩০ জেলার ২১টিই সবচে ঝুঁকিপূর্ণ। রাজশাহী বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো মৃত্যু ও শনাক্তের সূচকে এখন সবার উপরে। পাশাপাশি অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেও অব্যাহত সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি।
রাজশাহী:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে করোনায় ও উপসর্গে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৬, নওগাঁর ৩ , রাজশাহীর ২ এবং নাটোর ও কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন। ৩৪১ নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত ১৮৩ জন। শনাক্ত হার ৫৩.৬৭ শতাংশ বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
খুলনা:
রোগীর চাপ বাড়ছে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালেও। একশ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ১৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গে চারজনের মৃত্যু হয়।
সাতক্ষীরা:
সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজন ও উপসর্গ নিয়ে দুইজন মারা গেছেন। আইসিইউ সংকটের কারণে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জন আক্রান্ত। শনাক্ত হার ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশে।
যশোর:
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে যশোরেও। ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু, শনাক্ত হার ২৭ থেকে বেড়ে ৪২ শতাংশে ঠেকেছে। লকডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি উধাও।
ঠাকুরগাঁও:
একই অবস্থা উত্তরের সীমান্ত জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। রোগী বাড়ছে। একদিনে ১৫০ নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জন শনাক্ত ও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Discussion about this post