হার্টবিটডেস্ক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বছরের পর বছর চলা দুর্ভোগ কমাতে নেয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। প্রথমবার স্থাপন করা হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য আলাদা জরুরি বিভাগ। দালালের খপ্পর থেকে মুক্তি পেতে বসানো হচ্ছে বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রিক বুথ।
প্রিয় স্বজনের চিকিৎসা করাতে এসে বাইরে অপেক্ষার নামে অবর্ণনীয় দুর্দশা পরিবারের সদস্যদের। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে স্বজনদের ভোগান্তি।
শুধু তাই নয় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগীর টেস্ট নিয়েও স্বজনদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। দালাল তো আছেই সে সঙ্গে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।
প্রতিটি ওয়ার্ড তেলাপোকাতে ভরা, টয়লেট অপরিষ্কার। স্যামপল কালেকশনের জায়গা এক একটা, এক এক জায়গাতে।
এসব অভিযোগকে আমলে নিয়েই হাসপাতালের ভেতরে এবং বাইরের পরিবেশে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিশু সন্তানকে বুকের দুধ খাওনোর জন্য বসানো হচ্ছে ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার। অপেক্ষমাণ প্রতিবন্ধী রোগী কিংবা স্বজনদের জন্য থাকবে আলাদা ব্যবস্থা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, রোগীর জন্য যে কাজগুলো করা দরকার সেগুলো আমরা করার চেষ্টা করছি। টেস্ট বিড়ম্বনা কমাতে দেয়ালে বসানো হচ্ছে বিরাট ডিজিটাল নির্দেশক। দালালের খপ্পর থেকে হয়রানি রোধে হাসপাতাল এলাকার পাশে স্থাপন করা হবে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ।
তিনি বলেন, প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষার জন্য ডিজিটাল নির্দেশক বোর্ড বসানোর কাজ চলছে। মানুষ এসেই যেন সেই বোর্ডটি দেখতে পান।
দেশের সবচেয়ে বড় এ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য প্রথমবারের মতো নেওয়া হচ্ছে আলাদা জরুরি বিভাগ।
পরিচালক জানান, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি- এই ৩ ধাপে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে।
Discussion about this post