হার্টবিট ডেস্ক
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে ১৩টি স্থানে। আজ মঙ্গলবার (০৮ জুন) র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ৯৫৮ জনকে পরীক্ষা করলে ৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২২ শতাংশ।
২, ১৩, ২৩ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি প্রাথমিক আরবান হেলথ কেয়ার সেন্টার এবং নগরীর গুরুত্বপূর্ণ আটটি মোড়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম চলে।
চারটি প্রাথমিক আরবান হেলথ কেয়ার সেন্টার ছাড়া বাকি আট কেন্দ্র হলো- আমচত্বর মোড়, কাশিয়াডাঙ্গা মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়, সিঅ্যান্ডবি মোড়, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, ভদ্রা মোড়, তালাইমারি মোড়, শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর (রেলগেট)। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও বাসভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে চারটি প্রাথমিক আরবান হেলথ কেয়ার সেন্টার ও আটটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অস্থায়ী কেন্দ্রে করোনার ফ্রি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা এবং তাৎক্ষণিক রেজাল্ট পাওয়া যাবে। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম চলবে।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, গত এক সপ্তাহে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ৮ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৭২ জন। এর মধ্যে ৪৫ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে ১ জুন সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন ও সর্বশেষ আজ আটজন মারা যান।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহে মারা যাওয়া ৭২ জনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৭ জন এবং রাজশাহীর ২৩ জন। সে হিসাবে হাসপাতালে মৃত্যুর হার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং রাজশাহীর ৩১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোগীদের অধিকাংশই ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত। এজন্য সেখানকার রোগীর মৃত্যু হার বেশি বলে জানান ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
তিনি আরো বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। রাজশাহীর ১৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৪, নওগাঁর একজন ও নাটোরের দুজন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১২৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০২, নওগাঁর নয়, নাটোরের ১১, পাবনার চার, কুষ্টিয়ার তিন ও জয়পুরহাটের একজন। আইসিইউতে রয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫৭ জনের মধ্যে ১২৫ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post