হার্টবিট ডেস্ক
জুন, জুলাই ও আগস্টে চীন থেকে ৫০ লাখ করে টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানার এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে চীনের সিনোফার্ম থেকে টিকা কেনার বিষয়টি মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন করা হয়েছে। চীন সরকারের কাছ থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পাঁচ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে। এ টিকার প্রয়োগ ২৫ মে থেকে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য টিকা সংগ্রহের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য কোভ্যাক্স বরাবর পত্র দিয়েছে। ফাইজারের টিকার এক লাখ ৬২০ ডোজ এসে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রাশিয়া থেকে টিকা আমদানির জন্যও ইতোমধ্যে আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা সংগ্রহের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ চলমান রেখেছে সরকার। টিকা সংগ্রহের পাশাপাশি দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সংগৃহীত এবং ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত মোট এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা দ্বারা কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১৮ মে ২০২১ পর্যন্ত দেশের চল্লিশোর্ধ্ব ও সম্মুখসারির বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে মোট ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৩১২ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে টিকা সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটায় এপ্রিল মাসে ভারত সরকার টিকা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিকল্প উৎস হিসেবে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।
Discussion about this post