হার্টবিট ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সকল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষার ফরম পূরণ ও ফিস জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন পদ্ধতিতে ফরম পূরণ ও ফি জমার সময় শেষ হবে আগামী ৮ জুন।
রোববার (৩০ মে) ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘২০২০ সনের নভেম্বর (নতুন কারিকুলাম) মাসের ও ২০২১ সনের জানুয়ারি (পুরাতন কারিকুলাম) মাসের চূড়ান্ত পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় আপনার কলেজের যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ২০১৫-২০১৬ সেশনে টার্ম, আইটেম, ব্লকপোস্টিং, পারসেনটিজ সম্পন্ন হয়েছে কেবলমাত্র সে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ফরমপূরণ ও ফিস্ বিনা বিলম্ব ফিসে আগামী ৮ জুনের মধ্যে অনলাইনে সম্পন্ন করে ফরমসমূহ স্ব-স্ব কলেজ অফিসে সংরক্ষণ ও ফিস্ অত্র অফিসে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হইল।’
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থী ‘www.ducmc.com’ এই লিংকে প্রবেশ করে ফরমপূরণের সকল কার্যক্রম নিজেই সম্পন্ন করতে পারবে। তবে ৮ জুনের পর সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোন পরীক্ষার্থীর ফরমপূরণ ও ফিস্ জমা দিতে পারবেন না। একইসঙ্গে ইতিপূর্বে যে সকল পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র উত্তোলন করেছেন সেই সকল পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এ চিঠি প্রযোজ্য হবে না।
পরীক্ষা ও অন্যান্য ফসের হারে বিষয়ে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের প্রতি বিষয়ের জন্য এক হাজার ২০০ টাকা, নম্বর ফিসের জন্য ৪৫০ টাকা, অনিয়মিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রিটেনশন ফিস ৭৫০ টাকা ও সাময়িক সনদ ফিস বাবদ ২০০ টাকা করে জমা দিতে হবে।
যে সকল নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে
১. জমা দেওয়া ফিসের টাকা ‘Fees from the Constituent College’ এই শিরোনামে পে-অর্ডার ব ডিডি তৈরি করে জমা দিতে হবে।
২. যে সকল পরীক্ষার্থী পূর্ববর্তী পরীক্ষায় রেফার্ড পেয়েছে সে সকল পরীক্ষার্থীকে অনিয়মিত হিসেবে পরীক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে এবং রিটেনশন ফি পরিশোধ করতে হবে।
৩. যে সকল পরীক্ষার্থী পূর্ববর্তী কোন পরীক্ষায় কোন বিষয়েই রেফার্ড পায়নি কেবলমাত্র সেই সকল পরীক্ষার্থীকে নিয়মিত হিসেবে গণ্য করতে হবে।
৪. প্রত্যেক বিষয়ের ক্লাশে তাঁদের কমপক্ষে ৭৫ ভাগ হাজিরা থাকিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা অনলাইনে ফরমপুরণ সম্পন্ন করার পর পরীক্ষার্থীর নাম, পূর্ববর্তী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সার্টিফিকেটের সঙ্গে যাচাই করতে হবে এবং ‘No. of lectures’, ‘No. of demonstartions’, ‘Practical & Clinical Classes’, ‘Tutorials’, ‘Remarks’ ঘরসমূহ পূরণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীকে ভেরিফাই করবে।
৫. পরীক্ষার্থী অনলাইনে ফরমপূরণের পর পূরণকৃত ফরম ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনরোডকৃত ফরমে পরীক্ষার্থী স্বাক্ষর করে কলেজে জামা দিতে হবে।
৬. কলেজ কর্তৃক ভেরিফাইড পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবে। এরপরেই তাঁরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। প্রবেশপত্রটি সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ সত্যায়িত করে
ক্ষার্থীদের প্রদান করবেন।
৭. ফরমে উল্লিখিত বিষয় ছাড়া অন্য কোন বিষযয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে প্রদত্ত পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য হবে।
৮. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোন পরীক্ষার্থীর ফরম ও ফিস জমা দেওয়া যাবে না।
৯. সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোন ব্যাংকে ডিডি বা পে-অর্ডার জমা দেওয়া যাবে না।
Discussion about this post