হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্স করে ভারতীয়, আফ্রিকানসহ বিভিন্ন দেশীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
আজ রোববার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দেশে এ পর্যন্ত ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি দাক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ‘বি.১.৬.৭’ভ্যারিয়েন্টটি ভারতফেরত এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পাওয়া গেছে।
ভ্যারিয়েন্ট প্রাপ্তিতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনায় যত রোগী শনাক্ত হবে, ততই নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারবো। করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।’
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট ও তার ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকান ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার করণ হিসেবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে দায়ি করেছেন অনেকে।
Discussion about this post