হার্টবিট ডেস্ক
ময়মনসিংহের হাসিনা বেগমের বয়স মাত্র ৩০ বছর। এই বয়সেই তার হৃদপিন্ডেরদুটি ভাল্বই বিকল হয়ে গিয়েছিলো। দেখা দিয়েছিলো নানা রকম শারিরিক সমস্যা।
অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠতেন তিনি। স্বাভাবিক হাঁটা চলাও তার বন্ধ হতে বাসেছিল।পাঁচদিন আগে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে তার হার্টের দুটো ভাল্বই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো সম্পূর্ণ নতুন একটি পদ্ধতিতে হাসিনা বেগমেরভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।এই পদ্ধতির নাম এ.এম.আই.সি.এস ।
বুক না চিরে মাত্র দুই থেকেতিন ইঞ্চি পরিমাপের দুটি ফুটো করে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক উপায়ে তার হৃদপিন্ডে দুটি নতুনভাল্ব বসানো হয়েছে।
বড় ধরণের কোন অপারেশন ছাড়া এই বিরল অপারেশন সম্পন্ন করেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা: আশ্রাফুল হক সিয়ামের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল।
ডা: আশ্রাফুল হক সিয়াম বলেন, এ.এম.আই.সি.এস নামের এই পদ্ধতিতে রোগীকে বড় কোন অপারেশনের ধকল সইতে হয়না। এতে অপারেশন পরবর্তী রোগীর মৃত্যুঝুকিও কম।
মাত্র পাঁচ দিনেই সুস্থ হয়ে উঠেন রোগী। বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশেএই পদ্ধতিতে হার্টের ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলো বাংলাদেশ।হাসিনা বেগম এখন বেশ ভালো আছেন।তার বিকল ভাল্ব দুটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে ভাল্ব প্রতিস্থাপনের জন্য একজন রোগীকে কমপক্ষে দুইমাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
অপরেশন পরবর্তী নানা রকম ঝুকিও থাকে। যাতে রোগীরা মারাও যেতে পারেন।কিন্তু নতুন এই পদ্ধতি যেমন ঝুকিমুক্ত তেমনি খরচও নামমাত্র।
Discussion about this post