হার্টবিট ডেস্ক
ভারতের বিরল ছত্রাকজনিত রোগ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ রোগে চিকিৎসাধীন আছেন আরও এক রোগী। তবে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে মিলেনি এর অস্তিত্ব। কিন্তু করোনা আক্রান্তদের রয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি। পাশাপাশি ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীদেরও নিতে হবে বাড়তি সুরক্ষা। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। ভয়ংকর এ ছত্রাক জনিত রোগকে ঠেকাতে এমনটায় বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ।
মঙ্গলবার (২৫ মে) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত এধরনের কোন সংক্রমণের খোঁজ আমরা পাইনি। যারা কোভিড আক্রান্ত তাদের এ রোগটি হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তখনই এ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কোভিড পজেটিবদের শরীরে ঠান্ডার ভাব , শরীরে দাগ ,নাক দিয়ে কালো রক্ত আসে কিনা এসব।’
তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবেলাতে চলমান স্বাস্থ্যবিধির মধ্য থেকেই বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
কোভিড আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়ে বাইরে যান তাদের এবিষয়ে বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এসময় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে। বিশেষ করে করোনা থেকে বেঁচে ফেরা ডায়বেটিস রোগীদের এ বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে এসব রোগীদের সবসময় পরিষ্কার মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
Discussion about this post