হার্টবিট ডেস্ক
ভারতে খোঁজ মেলা করোনার বি১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজারের টিকা ৮০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ সরকারের পরিচালিত এক গবেষণায়। এর মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে কোভিশিল্ড নাম অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা কিংবা ফাইজারের টিকার দুই ডোজ এই স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে বেশ জোরালোভাবে কাজ করে। এটি ৮০ শতাংশের ওপর কার্যকর। এছাড়া যুক্তরাজ্যের কেন্টে খোঁজ মেলা বি.১১৭ স্ট্রেইনের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের দুই ডোজ টিকা ৮৭ শতাংশ কার্যকরী।
এর আগে ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা দাবি করেছিলেন, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভিশিল্ড মাত্র ২১ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে।
এদিকে বাড়িতে বসেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার একটি টেস্ট কিট অনুমোদন দিয়েছে ভারত। র্যাপিড এন্টিজেন কিট নামের এই টেস্ট কিটটি দেশটির মহামারি মোকাবিলার সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর সবুজ সংকেত পেয়েছে। কিভাবে এটি ব্যবহার করতে হবে, আর কারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন তা নিয়ে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে আইসিএমআর।
নির্বিচারে সব মানুষকে করোনা পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। শুধু করোনা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তি এবং যাদের ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তাদের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদেরই এন্টিজেন কিট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইসিএমআর বলেছে, যেসব ব্যক্তির টেস্ট পজিটিভি এসেছে তাদের সত্যিকার পজিটিভ বলেই ধরা হবে আর বারবার টেস্ট করার দরকার নেই। লক্ষণযুক্ত যেসব ব্যক্তি র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট পাবেন তাদের দ্রুত ল্যাবরিটরি টেস্ট করাতে হবে।
এন্টিজেন কিটটি প্রস্তুত করেছে পুনেভিত্তিক মাইল্যাব ডিসকোভারি সলিউশন লিমিটেড। এই কিট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে একটি অ্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিলে বিস্তারিত ব্যবহার বিধি জানা যাবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।
Discussion about this post