হার্টবিট ডেস্ক
‘পেটের প্রদাহজনিত রোগকে অবহেলা নয়, এ রোগ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা জরুরি। এ রোগে ওজন কমে যায়, খাবারে অনীহা দেখা দেয়, পেটে ব্যথা হয়, কখনো পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায়, কখনো চর্মরোগ দেখা দেয় ও চোখের সমস্যা হয়।’
বুধবার (১৯মে) বিশ্ব আইবিডি দিবস-২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পেটের প্রদাহজনিত রোগ বা আইবিডি বলতে দুটি আলাদা রোগকে বোঝায় যথা আলসারেটিভ কোলাইটিস ও ক্রোনস ডিজিস। এসব রোগ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে হবে। দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এই রোগে ভুগছেন। পরিপাকতন্ত্রের এই রোগের মাধ্যমে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। আইবিডি বা পেটের প্রদাহজনিত এই রোগ নিরাময়যোগ্য না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং আগেভাগে রোগটি চিহ্নিত হলে ক্যান্সার থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত জাতীয় অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানসহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আনওয়ারুল কবীর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের শিক্ষক ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টেলিমেডিসিনের মতো চিকিৎসাসেবা মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল রোগের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। করোনার এই মহামারির সময়ে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা অত্যন্ত দক্ষ এবং তাদের চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’
Discussion about this post