হার্টবিট ডেস্ক
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযানে গত ১৫ দিনে মোট ২২টি মামলায় ১৯ লাক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, লাইসেন্সের না থাকা ও শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী মজুদ রাখায় গত ১৫ দিনে মোবাইল কোর্টে নামীদামী অনেক প্রতিষ্ঠান জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মমালায় আদায়কৃত জরিমানার মোট পরিমাণ ১৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ পরিচালিত মোবাইল কোর্টে গত ৭ মে মিরপুর-১২ এর লাবিবকে ২৫ হাজার টাকা, একই এলাকার আড়ংকে ১০ হাজার টাকা, ১২ মে মিরপুর-২ এর পিৎজা ইনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে গত ৫ মে উত্তরা রোড-৩ এর আড়ংকে ২০ হাজার টাকা, ৬ মে উত্তরা সেক্টর-৩ এর কাচ্চিওয়ালাকে ৩০ হাজার টাকা, ৮ মে নিকুঞ্জের আবাসিক হোটেল গ্রেজ-২১ কে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, নিকুঞ্জের লা ম্যারিডিয়ানকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ১০ মে উত্তরা সেক্টর-৩ এর আড়ংকে ৪০ হাজার টাকা এবং উত্তরার সেক্টর-৭ এর দি ক্যাফে রিওকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৬ মে মোহাম্মদপুরের আড়ংকে এক লক্ষ টাকা, ৭ মে গুলশান-২ এর জেরিন হোটেল এন্ড রিসোর্টকে ৫০ হাজার টাকা, গুলশানের হোটেল রেনেসাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমান করেছেন।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌস পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১৭ মে গুলশান-২ এর বার্গার কিংকে ২০ হাজার টাকা, ১৯ মে গুলশান এর লাফিং বোদ্দা রেস্টুরেন্টকে এক লক্ষ টাকা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১৭ মে গুলশান-২ এর সুলতান ডাইনকে ৪০ হাজার টাকা এবং ১৯তারিখ গুলশান-২ এর বাটলার্স ক্যাফেকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ২২টি মামলায় আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট পরিমাণ ১৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় মাইকিং করে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয়, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং সকলকে সরকারের নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Discussion about this post