হার্টবিট ডেস্ক
প্রতি মাসে অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে প্রস্তুত দেশীয় কোম্পানিগুলো। এক্ষেত্রে মানের কোনো পরিবর্তন হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে রাশিয়া ও চীনের ভ্যাকসিন দুটির বিষয়ে সুখবর নেই এখনও। কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানাতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। চিঠি আদান-প্রদান চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
মধ্যম আয়ের অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশে শুরু হয় ভ্যাকসিন কার্যক্রম। তবে মজুদ স্বল্পতায় প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে প্রথম ডোজ।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার অনিশ্চয়তায় বিকল্প উৎস খুঁজে সরকার। অনুমোদন দেয়া হয় রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও চীনের সিনোভ্যাক। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, জিটুজি প্রক্রিয়ায় শিগগিরই আসছে ৪০ লাখ ডোজ স্পুটনিক ভি যা মোড়কজাত করা হবে বাংলাদেশেই।
হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সিইও ড. হালিমুজ্জামান বলেন, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমাদের কাছে যেটা জানতে চেয়েছে আমরা এইটা (ভ্যাকসিন সরবরাহ) করতে রাজি আছি কিনা। আমরা বলেছি সে তারা যদি এগ্রি করে সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
ইনসেপ্টা ভ্যাকসিনের মার্কেটিং ডিভিশনের জিএম ডা. ই এইচ আরেফিন আহমেদ বলেন, সমস্ত ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করার ফ্যাসিলিটিজ আমাদের এখানে আছে। সেটা বাল্ক ফর্মেই হোক বা ফিনিশড ফর্মেই হোক আমরা তা করতে পারবো। চুক্তি হওয়ার পরে (আমি ধরে নিচ্ছি আমরা বাল্ক পাবো) সবকিছু মিলে মনে হয় আমার মনে হয় তিন থেকে চার সপ্তাহের ভেতরেই ইনশাল্লাহ আমরা এটা রিলিজ করে দিতে পারবো।
ইনসেপ্টা ভ্যাকসিনের এই কর্মকর্তা জানান, দেশীয় চাহিদার তিনগুণ ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করাও সম্ভব।
ডা. ই এইচ আরেফিন আহমেদ আরও বলেন, মাসে মোটামুটি চার কোটি ডোজ আমাদের টোটাল প্ল্যান্টের ম্যাক্সিমাম ক্ষমতা। কোয়ালিটির স্বার্থে আমাদের অনেকগুলো স্টেপ পার হয়ে আসতে হচ্ছে। কাজেই এখানে মান নিয়ে ইনশাল্লাহ কোনো প্রশ্ন থাকবে না।
চুক্তির আগে বাংলাদেশের কারখানা পরিদর্শন করবে রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ দল। তবে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়নি এখনো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, একটা পেপারওয়ার্ক শেষ না হওয়া পর্যন্ত কবে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা খুব কঠিন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই শুরু হয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও চীনের সিনোভ্যাকের ব্যবহার। তবে টিকা দুটি এখনও অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Discussion about this post