হার্টবিট ডেস্ক
টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে যাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের শরীরে চারগুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। বুধবার (১২মে) আইইডিসিআরের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত করোনা প্রতিরোধী টিকা কোভিশিল্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি।
আইইডিসিআর জানায়, বাংলাদেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা (কোডিশিল্ড) দেওয়া শুরু হয়। এরপর থেকে আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআর-বি যৌথভাবে টিকা গ্রহণকারীদের রক্তে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডির উপস্থিতি সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করে। এই গবেষণায় দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৬ হাজার ৩০০ জন টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে টিকা গ্রহণের পরবর্তী দুই বছর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১২০ জন কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীর টিকা গ্রহণের এক মাস পর ৯২ শতাংশ ও দুই মাস পর ৯৭ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাছাড়া সব বয়সের টিকা গ্রহীতার শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অন্যান্য অসুস্থতা (কো-মরবিডিটি) থাকার বা না থাকার সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির তেমন কোনও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়নি।
গবেষকরা জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে কোডিশিল্ড টিকা গ্রহণের পর শরীরে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। চলমান গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।
Discussion about this post