হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তারুণ্য থেকে শুরু হোক থ্যালাসিমিয়া প্রতিরোধ, বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদ’।
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্ততর ও বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিটি জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে সচেতনামূলক অনুষ্ঠান, থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়ের জন্য বিনামূল্যে স্ক্রিনিং, সকল থ্যালাসেমিয়া রোগীকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের আওতাভুক্ত করা এবং দরিদ্র ও সহায়-সম্বলহীন রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
চিকিৎসকদের মতে, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তাহলে থ্যালাসেমিয়া হয়। এর ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্থতা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়ার তথ্য মতে, দেশের ১০ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করছে। এর মধ্যে চার শতাংশই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বেঁচে থাকার জন্য এদের নিয়মিত রক্ত নিতে হচ্ছে। দেশে বছরে সাড়ে সাত হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। সে হিসেবে দিনে ২০ জনের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু এ রোগে ভুগছে।
অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক প্রায় ২৫০ মিলিয়ন। বাংলাদেশে প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বিশ্বে প্রতি বছর এক লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
Discussion about this post