হার্টবিট ডেস্ক
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এমন অবস্থায় তৃতীয় ঢেউয়ের কথাও জানালো দেশটির কেন্দ্র সরকার। তবে কখন এই ঢেউ ছড়াবে তার কোনও সময় জানাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যেকোনও সময়েই তা আছড়ে পড়তে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রিন্সিপাল বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক কে বিজয়রাঘবন বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে ভাইরাস যে হারে ছড়াচ্ছে, তাতে স্পষ্ট সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে আর বেশি দেরি নেই। তবে কবে এবং কীভাবে সেই ঢেউ আছড়ে পড়বে তা এখনও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়’।
কেন্দ্রীয় কমিটির মতে, তৃতীয় ঢেউ অপ্রতিরোধ্য। অনেকে বলছেন, টিকায় বদল ঘটাতে হবে, তাকে আরও উন্নত করতে হতে পারে। তাতে হয়তো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে সামলানো যেতে পারে।
বিজয়রাঘবনের কথায়, ‘ভাইরাসের যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাকে আটকাতে হলে টিকা আরও উন্নত করতে হবে।’
এটা করলেই কী একে রোখা যাবে? সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞেরা বিশেষ কিছু জানাননি। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নয় বলেও জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড করেছে ভারত। ৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও চার লাখ ১২ হাজার ২৬২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একদিনে এত বেশি শনাক্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ।
১ মে দেশে দৈনিক সংক্রমণ প্রথমবারের মতো চার লাখ ছাড়িয়েছিল। তারপর চার দিন সাড়ে তিন লাখের বেশি থাকলেও চার লাখের নিচেই ছিল নতুন শনাক্তের সংখ্যা।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত দুই কোটি ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৪১০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যদিও আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে উপদেষ্টা বিজ্ঞানী বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়ানোর প্রধান একটি কারণ। ইমিউনিটি কমে যেতে পারে। সুস্থ হওয়া যে কেউ আবার আক্রান্ত হতে পারেন। ইমিউনিটি কমে যাওয়া এবং বেপরোয়া আচরণ দ্বিতীয় ঢেউকে গতি দিয়েছে।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে তৃতীয় ঢেউ?
বেঙ্গালুরুভিত্তিক ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ-এর এপিডেমিওলজিস্ট অধ্যাপক ড. গিরিধার বাবু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, উৎসবের মৌসুমের আগে তাই সব ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণির মানুষকে টিকা দিতে হবে। পরের ঢেউয়ে আক্রান্ত হবেন মূলত তরুণরা।
একাধিক ঢেউ সামাল দিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।
Discussion about this post