হার্টবিট ডেস্ক
চার দিন কর্মবিরতি পালনের পর ৭টি শর্তে কাজে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রবিবার সকাল ১০টার পর ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তারা কাজে যোগ দেন।
চমেক হাসপাতাল পরিচালকের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আখতার, পুলিশের ৫ কর্মকর্তা ও চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় —
১.উপ পরিচালক, চমেক হাসপাতালকে সভাপতি করে দোষীদের সনাক্তকরণের জন্য কমিটি গঠন।
২. চমেক ও হাসপাতালে-ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৩. ইন্টার্ন ডাক্তারদের বাধ্যতামূলকভাবে আইডি কার্ড বহন করা।
৪. ডা. মিজান হোস্টেলে পুলিশ মোতায়েন করে ইন্টার্ন ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৫. ইন্টার্ন ডাক্তারদের জন্য মিজান হোস্টেলের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং আনসার নিয়োগ করে হোস্টেলের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬. সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
৭. চমেক ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারসহ বহিরাগত যে কোন অপশক্তির উস্কানি বা সরাসরি জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে চমেক ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দুইজন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ পাঁচজন আহত হন। এরমধ্যে চমেকের ৫৭তম ব্যাচের ইন্টার্ন ডাক্তার ও বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমানও রয়েছেন। এর জের ধরে গত বুধবার থেকে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
Discussion about this post