ওভারিয়ান সিস্টেকটমি কী ?
ওভারিয়ান সিস্টেকটমি একটি সার্জারী, যার সাহায্যে ওভারির (ডিম্বাশয়ের) সিস্ট (কোষ দিয়ে তৈরী, তরল পদার্থ ভর্ত্তি থলি) বাদ দেওয়া হয় ।
কেন এই ওভারিয়ান সিস্টেকটমি অপারেশন করা হয় ?
ওভারিয়ান সিস্ট বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হলে, এই অপারেশন করা হয় । বিশেষ কিছুক্ষেত্রে ওভারিয়ান সিস্ট বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যেমন –
- সিস্ট থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা যদি দেখা যায় ( বয়স কম থাকলে, ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সাধারণত খুব কমই থাকে)
- সিস্ট যদি 2.5 ইঞ্চির থেকে বড় হয়
- সিস্ট যদি শুধু তরল পূর্ন না হয়ে, শক্ত হয়ে যায়
- সিস্টের ফলে যদি ব্যাথা হয়
সাধারণ সিস্ট থেকে জটিল কোন সমস্যা, কখন হতে পারে ?
- শরীরে মেদ বেড়ে গেলে
- দীর্ঘদিন ধরে কোন অসুস্থতা থাকলে বা বর্তমানে কোন অসুস্থতায় ভুগলে
- অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূম্রপান বা মাদক দ্রব্য নিলে
- নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ওষুধ নিলে
- আগে যদি পেটে কোন অপারেশন করা হয়ে থাকে
ওভারিয়ান সিস্টেকটমি অপারেশন করতে কত সময় লাগে ?
ওভারিয়ান সিস্টেকটমি অপারেশন করতে সাধারণত 1 থেকে 2 ঘন্টা সময় লাগে ।
ওভারিয়ান সিস্টেকটমি অপারেশনের পর সুস্থ হতে কত সময় লাগে ?
সাধারনত, অপারেশনের পর সুস্থ হতে 4 সপ্তাহ সময় লেগে যায় । তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য, ভারী কোন কাজ না করা উচিত এবং গাইনোকোলজিস্ট (স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ) এর পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলা উচিত ।
অপারেশনের পর কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ?
নীচে উল্লেখিত সমস্যার মধ্যে, যেকোন একটি দেখা দিলে তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ইনফেকশন হলে ও তার সাথে যদি জ্বর আসে বা শীত লাগে
- অপারেশনের জায়গা যদি লাল হয়ে ফুলে যায়, ব্যাথা হয় বা সেখান থেকে যদি রক্ত বের হয়
- যদি প্রচন্ড ব্যাথা হয় ও ওষুধেও যদি তা না কমে
- যোনি থেকে যদি রক্তস্রাব বা এরম কিছু হয়
- ঠান্ডা লাগলে, নিঃশ্বাসে কষ্ট হলে বা বুকে ব্যাথা হলে
- মাথায় বা শরীরের পেশীতে ব্যাথা হলে
- মল বা মূত্র ত্যাগে কোন সমস্যা হলে
- তলপেট যদি ক্রমশ ফুলে যায়
- পা ফুলে গেলে বা ব্যাথা হলে
- এছাড়াও অনান্য যেকোন সমস্যা হলে
Discussion about this post