হার্টবিট ডেস্ক
সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারকারীদের তুলনায় যারা মাস্ক ব্যবহার করেন না তাদের করোনাভাইরাস আক্রান্তের ঝুঁকি আড়াইগুণ বেশি। যারা বাসার বাইরে কখনো মাস্ক ব্যবহার করেন না তাদের মধ্যে আক্রান্তের হার শতভাগ। মাস্ক ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কমতে থাকে। করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা শতভাগ হ্রাসের জন্য সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সেন্টার ফুট ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আটলান্টার (ইউএসসিডিসি) সহযোগিতায় পরিচালিত ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম বাংলাদেশ (ইটিপি, বি) প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ দেশের বর্তমান করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণসমূহ নির্ণয়ের জন্য গত ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গবেষণায় দেশের ১৪৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী এবং ২৪৫ সুস্থ (করোনা নেগেটিভ) অংশগ্রহণকারীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। উপসর্গযুক্ত রোগীদের উপসর্গ দেখা দেয়ার দিন থেকে এবং উপসর্গহীনদের নমুনা সংগ্রহের দিন থেকে আগে ১৪ দিনের করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য কারণসমূহ পর্যালোচনা করা হয়। ফল বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
গবেষণায় বলা হয়, সঠিকভাবে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা করোনা প্রতিরোধের স্বাস্থ্যবিধির সময়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, যার মাধ্যমে সংক্রমণের হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এ কারণে আইইডিসিআর বর্তমান বিধি-নিষেধ (লকডাউন) পরিস্থিতিতে ও পরবর্তী সময়েও জনসাধারণকে সঠিকভাবে সব সময়ে মাস্ক পরিধান করার অনুরোধ করছে।
কখন মাস্ক ব্যবহার করা উচিত
বাড়ির বাইরের সব সময় সঠিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। আশঙ্কাযুক্ত করোনা রোগীর সেবা করার সময় একজন সুস্থ ব্যক্তি মাস্ক ব্যবহার করবেন। হাঁচি অথবা কাশি হলে বাড়ির ভেতরে ও বাইরে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সাবান পানি দিয়ে অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে পারলে তখনই মাস্কের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। মাস্ক ব্যবহার শেষে অবশ্যই তার সঠিক নিয়ম মেনে ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়া উচিত।
মাস্ক পরা, খোলা ও ফেলে দেয়ার পদ্ধতি
মাস্ক পরার আগে সাবান-পানি দিয়ে অথবা অ্যালকোহলের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। মাস্ক দিয়ে মুখ নাক ভালভাবে ঢেকে ফেলতে হবে এবং মাছ ও মুখের মধ্যে যেন কোনো ফাঁক না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরার সময় মাস্কের ফিতা ছাড়া মাস্কের পৃষ্ঠ স্পর্শ করা যাবে না।
মাস্ক ব্যবহার অযোগ্য হওয়ার সাথে সাথে মাস্ক বদল করতে হবে এবং একবার ব্যবহার করা মাস্ক পুনরায় আবার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
মাস্ক খোলার সময় মাস্কের ফিতা ধরে খুলুন। যদি মাস্কের পৃষ্ঠায় হাতের স্পর্শ লেগে যায় তাহলে সাবান-পানি দিয়ে অথবা অ্যালকোহলে তৈরি হ্যান্ডসেটে যার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
ব্যবহার করা মাস্ক দ্রুত আবর্জনা ফেলার ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন এবং আবার সাবান-পানি দিয়ে অথবা অ্যালকোহলের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
Discussion about this post