হার্টবিট ডেস্ক
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে তারা প্রতি মাসে ২০ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে। সরবরাহ জটিলতা নিয়ে নানা টানাপড়েনের পর কোম্পানিটির এ ঘোষণা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এ ঘোষণার ফেলে স্টক মার্কেটে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম। আর বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটি ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী পাসক্যাল সোরিয়ত শুক্রবার বলেছেন, তারা কখনও নিজেদের সামর্থ্যের বেশি ডোজ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেননি। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্যাকসিন সরবরাহ কমানোর পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলে আসছে, তারা মহামারি কালে ভ্যাকসিন বিক্রি থেকে কোনও মুনাফা করবে না। এমন ঘোষণার প্রেক্ষিতে শুক্রবার কোম্পানিটি ভ্যাকসিন সরবরাহ ও বিক্রির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ থেকে তারা ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপে বিক্রির পরিমাণ ছিল ২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার, উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর কাছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং বাকি বিশ্বের কাছে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮০ লাখ ডলার। প্রতি ডোজ বিক্রি করা হয়েছে ৪ ডলার মূল্যে।
স্বল্পমূল্যের এবং সহজে পরিবহনযোগ্য হওয়ার কারণে মহামারি ঠেকাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনকে বড়ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি ঘটনায় ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদ কমে যাচ্ছে।
প্রধান নির্বাহী সোরিয়ট বলেন, উৎপাদন বাড়ার ফলে ভ্যাকসিনের চালানও বাড়ছে। মাসে ২০ কোটি ডোজ সরবরাহের পথে রয়েছে আমরা।
Discussion about this post