গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ডিজিটাল হসপিটালে সিজারিয়ান অস্ত্রপচারকালে চিকিৎসকের অদক্ষতায়
প্রস্রাবের রাস্তা ও মলদ্বার কেটে একচি নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালটি সিলগালা করেছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হাসপাতালটি সিলগালা করেন।
ইউএনও জানান, অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় প্রাথমিকভাবে বোনারপাড়া ডিজিটাল হসপিটালটি সিলগলা করা হয়েছে। পরে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, অস্ত্রপাচারের সময় জরায়ুতে কাটাছেড়া করায় শঙ্কামুক্ত নন নবজাতকটির মা মমিনা বেগম (৩৫)। তিনি ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
মমিনা বেগম সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।
প্রসূতির স্বামী হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) প্রসববেদনা উঠলে দুপুর ১২টার দিকে তিনি তার স্ত্রীকে বোনারপাড়া ডিজিটাল হসপিটালে নিয়ে আসেন। দ্রুত হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. খোরশেদুর রহমান পাপ্পু ও ডা. রাকিবুল হাসান রাকিব তার সিজারিয়ান অস্ত্রপচার করেন। এসময় তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর বিকেলে নবজাতকটি বেঁচে নেই জানিয়ে কার্টনবন্দি করে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে কার্টন খুলে নবজাতকের প্রস্রাবের রাস্তা আর মলদ্বারে একাধিক কাটা দাগ দেখে নিশ্চিত হই যে চিকিৎসকের অদক্ষতাতেই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আমার স্ত্রীরও জরায়ুর কিছু অংশ কেটে গেছে। সে ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেডিক্যাল অফিসার ডা. খোরশেদুর রহমান পাপ্পু বাংলানিউজকে জানান, তিনি সঙ্গে থাকলেও সিজারিয়ান অস্ত্রপচার করেন ডা. রাকিবুল হাসান রাকিব। এর বেশি তিনি জানেন না।
হাসপাতালের দায়িত্বরত সেবিকা দীপা আকতার জানান, কোনো এক পল্লী চিকিৎসক প্রসূতির শরীরে ১২টি ইনজেকশন প্যুশ করেন। এ কারণেই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
ইউএনও মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটি সিলগালা করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র -বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Discussion about this post