হার্টবিট ডেস্ক
অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। শুধু করোনাকালে আমদানি করার প্রয়োজন হয়েছিল লিকুইড অক্সিজেন।’ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাবছর ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করি না। এই করোনার সময় যখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী ছিল তখন প্রতিদিন আমরা আমদানি করেছি। কিন্তু গত চার পাঁচ দিন কোনও অক্সিজেন আসছে না, আমরা তো চলছি। আমাদের তো অক্সিজেনের অভাব নেই। আমরা তো শুধু লিকুইড অক্সিজেন দিয়ে কাজ করি না। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন তো নতুন হলো, এর আগেও হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। সেগুলোর কিছু লিকুইড অক্সিজেন, আর বেশিরভাগই ছিল গ্যাস অক্সিজেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে অক্সিজেনের অভাব নেই। এর প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অনেক। আমাদের লোকাল যারা লিকুইড অক্সিজেন তৈরি করে তাদের সব নিয়ে আমরা হাসপাতালে দেবো, যেখানে প্রয়োজন হবে। আমাদের অনেক শিল্পকারখানাতেও লিকুইড অক্সিজেন নেয়, সেটাও আমরা রিজার্ভ করে ফেলেছি, প্রায় ৪০ টনের মতো। আমরা আমদানি করতাম ৪০-৫০ টন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলোতে যেখানে গ্যাস অক্সিজেন ব্যবহার করার সুযোগ আছে সেখানে আমরা বলেছি, গ্যাসে কনভার্ট করে ফেলতে বলেছি। এখন গ্যাস দিয়ে চলতে বলেছি। তাতে আমাদের লিকুইড গ্যাসের প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি আমরা ছোট ছোট প্ল্যান্ট ইমপোর্ট করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এটাও পর্যাপ্ত না, কারণ সবদেশেও তো প্রয়োজন। এরপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, এগুলো নিয়ে এসে হাসপাতালে স্ট্যান্ডবাই রাখবো। কিন্তু বর্তমানে যে পরিমাণ রোগী আছে আমরা হিসাব করে দেখেছি, এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রোগী যদি ৭ হাজারের জায়গায় ২১ হাজার হয় তাহলে কিন্তু সংকট হবে। শুধু এই দেশ না, যেকোনও দেশেই সংকট হবে।’
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post