

হার্টবিট ডেস্ক
• সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিস। আজকাল অধিকাংশের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে মূলত স্পাইনাল কর্ড, ভার্টিব্রাল ডিশ, লিগামেন্ট, পিছনের দিকের হাড় ও পেশিতে ব্যথা-সহ নানা সমস্যা তৈরি হয়। বয়সের সঙ্গে আবার ক্রমে বাড়তে থাকে যন্ত্রণা। অনেকে রোগ থেকে মুক্তি পেতে এক গাদা ওষুধ খান। অনেকে আবার ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেন। তবে সমস্ত কিছুর মাঝে বেশ কয়েকটি যোগাসন এই ধরনের অসুবিধা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!


• বজ্রাসন (Vajrasana)- এই যোগাসন খুব সহজ। বজ্রাসনের সাহায্যে সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিসের একাধিক উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসতে হবে। পায়ের পাতাটা উল্টো করে একদম সোজা করে রাখতে হবে। তার পর থাইয়ের উপরে হাতদু’টিকে রাখতে হবে।


• ভুজঙ্গাসন (Bhujangasana)- কোনও সমতল অংশে পেটের উপরে ভর দিয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এর পর ধীরে ধীরে মাথাটা বাঁকিয়ে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে হাতের তালুতে ভর দিয়েই শরীরটা উপরের দিকে তুলতে হবে। একে কোবরা পোজ বলেও ডাকা হয়। কারণ শিকার ধরার সময় খানিকটা একই ভঙ্গিতে দেখা যায় কোবরাকে। এই যোগাসন ঘাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। স্পাইনাল কর্ডের সমস্যাও দূর করতে পারে।


• শলভাসন (Salabhasana)- যোগ আসনটিকে লোকাস্ট পোজ বলা হয়। কারণ আকৃতিটা অনেকটা কোনও কীট বা পতঙ্গের মতো হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে পেটের উপর জোর দিতে হবে। তার পর হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে সামনের দিকে মুখ উঠিয়ে তাকাতে হবে। এক্ষেত্রে উপরের দিকে ধড় সোজা থাকতে হবে। মাটির সঙ্গে উলম্ব ভাবে অবস্থান করবে হাত ও পা। বুকের নিচের দিকে অংশ, পেট ও পেলভিস জয়েন্টের সাহায্যে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই যোগাসনের মাধ্যমে ঘাড়, পিছনের পেশি শক্ত করার পাশাপাশি লোয়ার ব্যাকের ব্যথা কমানো যায়।


• তাড়াসন (Tadasana)- একটু কঠিন। তবে সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিস নিরাময়ে এর ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকরী। এক্ষেত্রে প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয়। এর পর মাটি থেকে গোড়ালি তুলে পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে। এই বিশেষ যোগ আসনকে মাউন্টেজ পোজ বলা হয়। এটি মেরুদণ্ডকে দৃঢ় ও ঋজু করে। পিছনের পেশিগুলিকে মজবুত করে।


• কোহ্নি চালনা (Kohni Chalana)- এই যোগাসনে কনুইয়ের ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কনুইকে ঘুরিয়ে কাঁধের অংশকে আঙুল দিয়ে ছোঁয়া হয়। এর জেরে ঘাড় ও কাঁধের অংশগুলিকে মজবুত হয়।
Discussion about this post