হার্টবিট ডেস্ক
বুধবার (২১ এপ্রিল) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বাজি রেখে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। শুধু যে তারা নিজেরাই ঝুঁকি নিচ্ছেন তা নয়, তাদের পরিবার পরিজনের অনেকের মৃত্যুর কারণও হয়েছেন। এ অবস্থায় তাদের প্রতি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও মহানুভবতার সঙ্গে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
রোবেদ আমিন বলেন, চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না। এক্ষেত্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক-নার্সদের সহযোগিতা করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব। আপনারা তাদের বাধাগ্রস্ত না করে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন, এটাই আমরা আশা করি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনায় পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক কাজ করছে। করোনা মোকাবিলায় তাদের অবদান অনেক। পাশাপাশি আমাদের চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরাও সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ করছেন। তারা জীবনবাজি রেখে রোগীদের সংস্পর্শে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে দেড় শতাধিক চিকিৎসকসহ অসংখ্য স্বাস্থ্যকর্মী জীবন দিয়েছেন।
এ সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা শুরু থেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। আপনাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা সবসময় আপনাদের সঙ্গে আছি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই মুখপাত্র বলেন, চলাচলের সময় সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করবেন। এছাড়া চলমান বিধিনিষেধে চলাচলের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরও আইডিকার্ড দিচ্ছে। যে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী অধিদফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে তা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তবে যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, তাদের আইডি কার্ড লাগবে না। ভিজিটিং কার্ড দেখালেই চলবে।
রোবেদ আমিন আরও বলেন, আপনাদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনার টাকা নিয়ে রাগ, ক্ষোভ বা হতাশা রয়েছে। সরকার এরই মধ্যেই প্রথম দফায় প্রণোদনার টাকা ছাড় করেছে। ১৪টি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দুই মাসের বিশেষ প্রণোদনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি হাসপাতালগুলোয়ও দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মুভমেন্ট পাস ও পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক সৈয়দা শওকত জেনির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেট। এ ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয় পুলিশ ও চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন
Discussion about this post