পুরুষাঙ্গে যন্ত্রণা হলে কখনওই তা ফেলে রাখা উচিত নয়। সাধারণ ইনফেকশন থেকে যন্ত্রণা যেমন হতে পারে তেমনই এর পিছনে যৌন সংসর্গের ফলে সংক্রামিত রোগও থাকতে পারে।
জেনে নিন ১২টি কারণ—
১) কোনও রকম ইনফেকশনের কারণে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড ফুলে গেলে যন্ত্রণা হতে পারে। একে বলে প্রস্টাইটিস।
২) ক্রনিক নন-ব্যাকটেরিয়াল প্রস্টাইটিসের কারণে পুরুষাঙ্গে ফোলা ভাব এবং যন্ত্রণা হয়। যন্ত্রণা ইউরিনারি ট্র্যাক্টেও ছড়িয়ে পড়ে। ৩৫ থেকে ৫০ বছরের ছেলেদের মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা।
৩) ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে ইনফেকশন হলে পুরষাঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা হয়। কখনও কখনও শুধুমাত্র ইউরেথরাতে ইনফেকশনের কারণেও যন্ত্রণা হতে পারে। একে বলে ইউরেথ্রাইটিস।
৪) মূত্রথলিতে পাথর থাকলে তা থেকেও পুরুষাঙ্গে যন্ত্রণা হতে পারে।
৫) জেনাইটিল হার্পিস হল এক ধরনের যৌন সংসর্গের ফলে সংক্রামিত রোগ। পার্টনারের শরীর থেকে এই রোগ ছড়ায়। যোনি এবং যোনির আশেপাশের অংশে হার্পিস থাকলে যৌনমিলনের পরে তা সহজেই সংক্রমণ ঘটায় পুরুষাঙ্গে। হার্পিস হল এক ধরনের ছোট ছোট ফোস্কার মতো র্যাশ। পুরুষাঙ্গে হার্পিস হলে তীব্র যন্ত্রণা হয়। ফোস্কাগুলি থেকে পুঁজের মতো ক্ষরণও হয়।
৬) পেনাইল ক্যানসার হল পুরুষাঙ্গের ক্যানসার। এই রোগ বাসা বেঁধে থাকলে যন্ত্রণা হওয়া খুব স্বাভাবিক। চুলকানি, জ্বলুনির মতো অনুভূতি, পুরুষাঙ্গ লাল হয়ে যাওয়া, হঠাৎ হঠাৎ ক্ষরণ ইত্যাদি এর লক্ষণ।
৭) পুরুষাঙ্গে যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হতে পারে রিঅ্যাক্টিভ আর্থারাইটিস বা এক প্রকারের বাত যা কি না বিশেষ এক ধরনের ইনফেকশন থেকে হয়।
৮) ব্যালানাইটিসের ফলে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ এবং বহিঃত্বক ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। পাশাপাশি চুলকানি ও লাল ভাবও দেখা যায়। যাঁরা পুরুষাঙ্গকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখেন না তাঁদের মধ্যেই এই রোগ বেশি দেখা দেয়।
৯) ক্ল্যামিডিয়াল ইউরেথ্রাইটিস হল যৌন সংসর্গের ফলে সংক্রামিত একটি রোগ। সঙ্গিনীর যোনিতে যদি ক্ল্যামিডিয়া ইনফেকশন থেকে থাকে তবে তা সহজেই সংক্রামিত করে পুরুষাঙ্গকে। এর ফলেও যন্ত্রণা হয়।
১০) সিফিলিস হল সবচেয়ে মারাত্মক যৌনরোগগুলির মধ্যে অন্যতম। এই রোগের অন্যতম লক্ষণ পুরুষাঙ্গে যন্ত্রণা। সাধারণত যাঁরা অবাধ যৌনমিলন করেন কোনও প্রোটেকশন ছাড়া তাঁদেরই এই রোগ বেশি হয়। তবে সিফিলিস আক্রান্ত কারও সঙ্গে একবার যৌন সংসর্গ করলেই এই রোগ হতে পারে।
Discussion about this post