হার্টবিট ডেস্ক
করোনার উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় চাঁদপুরে বসানো হচ্ছে ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলি লিটারের লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট। প্রায় প্রতিদিন কুমিল্লা থেকে চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন আনতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্ল্যান্টটি বসানোর কাজে অর্থায়ন করছে ইউনাইটেড ন্যাশন ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ইমার্জেন্সি ফান্ড (ইউনিসেফ) এবং বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্ল্যান্ট বসানোর কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী মো. কামাল বলেন, চাঁদপুরসহ দেশের প্রায় ৩০টি জেলায় ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলি লিটারের ধারণ ক্ষমতার লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। মূল প্ল্যান্টটি হচ্ছে ৬ হাজার লিটারের। এটি যখন অক্সিজেনে রূপান্তর হয় তখন ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলিলিটারে রূপান্তর হয়। এটির কাজ সম্পন্ন হলে চাঁদপুরের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো সময় লিকুইড অক্সিজেন পাওয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, এই প্ল্যান্ট স্থাপনের সময়সীমা হচ্ছে ৬০ দিন। কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এটি স্থাপন করা সম্ভব হবে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হাবিব উল করিম বলেন, অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন চাঁদপুরবাসীর জন্য একটি সুখবর। বর্তমানে আমরা কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরে চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন আনতে হচ্ছে। তাতে ভোগান্তি এবং খরচ দুটোই হচ্ছে। লিকুইড প্ল্যান্টটি স্থাপন হলে জেলার বর্তমান চাহিদা পূরণ করে এবং ৪-৫ মাসের অক্সিজেন মজুত থাকবে। এছাড়াও এখান থেকে অন্য জেলায় অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
Discussion about this post