হার্টবিট ডেস্ক
অবশেষে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে বসানো হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট সহ ৫ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। সঙ্গে বসানো হচ্ছে আরও একটি বায়োসেপটিক ল্যাব।
সংক্রমণ শুরুর প্রথম থেকেই এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসলেও ছিল না কোনো অক্সিজেন সুবিধা। ফলে রোগী ভর্তি করানোর সুব্যবস্থা থাকলেও রোগীদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি হাসপাতালটি। রোগীর অবস্থার অবনতি হলেই পাঠাতে হতো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে।
জানা গেছে, হাসপাতালের নিচতলায় সাবেক টিটেনাস রোগীদের রাখার কক্ষকে পুনরায় প্রস্তুত করে ৫ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে এইচডিইউ শয্যা রয়েছে ৫টি, যা মূলত হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে রোগীদের অক্সিজেন সুবিধা দিয়ে থাকে। আইসিইউ, অক্সিজেন প্লান্ট ও বায়োসেফটি ল্যাব স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ারনেস’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ।
বিআইটিআইডি’র সহযোগী অধ্যাপক ও করোনা টিমের ফোকাল পারসন ডা. মামুনুর রশীদ বলেন, আইসিইউ সুবিধা না থাকায় সংকটাপন্ন রোগীদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে হয়। আইসিইউ সুবিধা চালু হলে এ সমস্যায় পড়তে হবে না। তাছাড়া অক্সিজেন প্লান্ট হলে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়েও কোনো ধরনের সমস্যা থাকবে না। রোগীরা নির্বিঘ্নেই অক্সিজেন সেবা পাবে। সবমিলিয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।
বিআইটিআইডি’র সহকারী পরিচালক ডা. বখতিয়ার আলম বলেন, আইসিইউ, অক্সিজেন প্লান্ট ও ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। গত শনিবার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল (রোববার) থেকে আইসিইউ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, মহামারির প্রথম থেকে এই হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া শুরুর পাশাপাশি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে প্রথম করোনা ল্যাবও চালু করা হয়।
Discussion about this post