হার্টবিট ডেস্ক
দক্ষিণাঞ্চলের করোনা ডেটিকেটেড একমাত্র হাসপাতাল হিসেবে খ্যাত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। করোনায় আক্রান্ত কিংবা উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীদের আস্থার স্থল হিসেবে গড়ে ওঠায় এ হাসপাতালটিতে রোগীর চাপও দিন দিন বাড়ছে।
এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে অক্সিজেন ও আইসিইউ সেবার। সেন্ট্রালের পাশাপাশি সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ সম্ভব হলেও করোনা ওয়ার্ডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মাত্র ১২টি বেড দিয়ে যথাযথ সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের।
সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় জনবলেরও সংকট থাকায় ভোগান্তির প্রভাবটা রোগীদের ওপর গিয়েই পড়ছে। তবে এসব অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল প্রশাসন।
জানা গেছে, করোনার প্রকোপ দেখা দিলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হাসপাতালের পূর্ব দিকের নতুন পাচতলা ভবনটিতে অনেকটাই তরিঘরি করে করোনা ইউনিট চালু করা হয়। প্রথম দিকে ২০ শয্যা দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে দেড়শ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু এখন দেড়শ-এর অধিক রোগী গড়ে প্রতিদিন করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ড মিলিয়ে থাকছে সেখানে।
আর তাই করোনা ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে ৫০টি সাধারণ শয্যার পাশাপাশি ১০টি আইসিইউ বেড বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। যার সূত্র ধরে এরইমধ্যে ১০টি আইসিইউ শয্যা পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের নবাগত পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রতিদিনই রোগীর ভিড় বাড়ছে। পাশাপাশি করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউ শয্যার সংখ্যা মাত্র ১২টি। সবগুলো শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ শয্যা ও সাধারণ শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। আশাকরি দ্রুত এগুলো সংযোজন করা সম্ভব হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ছয় জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post