হার্টবিট ডেস্ক
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথমদিন রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় পুলিশি হয়রানির মুখে পড়েছেন চিকিৎসার সাথে নিয়োজিতরা। পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাদের অনেককে আটকে রাখা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেওয়া ছাড়াও করা হয়েছে জরিমানা।
এরমধ্যে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুল হককে তিন হাজার টাকা জরিমানার বিষয়টি আলোচিত হয়। তার চিকিৎসক স্ত্রী ইসরাত জাহান জরিমানার সেই স্লিপটি যুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দিলে তা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নাজমুল ইসলামের জরিমানা মওকুফ করা হয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
নাজমুল ইসলাম বলেন, পুলিশের একজন কর্মকর্তা ফোন করে জরিমানার টাকা ফিরিয়ে দেবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) তাকে টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলা হয়েছে, যারা পরিচয়পত্র দেখিয়েছেন তারা সমস্যায় পড়েননি। তবে, কিছু কিছু জায়গায় অল্প কয়েকজন সমস্যায় পড়েছেন। আগামী দিন থেকে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ (এফডিআরএস) জানিয়েছে, পরিচয়পত্র দেখানোর পরও চিকিৎসকদের কাউকে কাউকে জরিমানা করা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেওয়া, এমনকি ঘণ্টাব্যাপী পর্যন্ত সড়কে আটকে জেরা করা হয়েছে।
এফডিআরএস এর যুগ্ম মহাসচিব রাহাত আনোয়ার চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িতদের লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। তবুও পুলিশ হয়রানি করেছে। কার্ড দেখানোর পরও অনেক জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে, গালাগালি করা হয়েছে। যা দুঃখজনক। এসব হয়রানি রোধে জোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এই চিকিৎসক নেতা।
Discussion about this post