হার্টবিট ডেস্ক
পবিত্র রমজান মাস চলছে। অন্যান্যদের মতো অনেক হৃদরোগীও রোজা রাখছেন। তবে এসময় নিঃসন্দেহে সব হৃদরোগীরা রমজান মাসে খাবার-দাবার নিয়ে একটু ভাবনায় পড়েন। কারণ রমজান মাসে ইফতারের আয়োজনে প্রচুর পরিমাণে তেলে ভাজা খাবার থাকে যা হৃদরোগীদের জন্য মোটেও ভালো নয়। ওষুধের মাত্রার কিছুটা পরিবর্তন করতে হয় তাদের। এছাড়াও রমজানে হৃদরোগীদের আরো অনেক কিছুই মেনে চলতে। তারপরও হৃদরোগীরা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েন। তাদের জন্য রইলো কিছু টিপস-
যে সমস্যা হতে পারে রোজায় বুক জ্বালাপোড়া, বাতব্যথা, পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস রোগীর রক্ত-সুগার কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, রোগীর রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বুকব্যথা বা জ্বালাপোড়া করলে রোজায় কখনও কখনও হঠাৎ বুক জ্বালাপোড়া, বুকব্যথা হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে অথবা ভাজা খাবার বেশি খেলে এসিডিটি বাড়ে, বুকজ্বালা বা বুকব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এন্টাসিড বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু বুকব্যথা তীব্র হলে ও ওমিপ্রাজল ওষুধে না কমলে, প্রচুর ঘাম হলে বা বমি হলে তাড়াতাড়ি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে অথবা যে কোনো কার্ডিয়াক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে যোগাযোগ করে ইসিজি বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সাপেক্ষে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।
ওজন বৃদ্ধি ঠ্যাকাতে হ্যাঁ, রোজায় ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি কেউ সেহরি ও ইফতারে অধিক পরিমাণে ও অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার খায়। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের একটি অন্যতম কারণ। তাই অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাদ্য, মিষ্টি, কোমল পানীয় পরিহার করে অধিক পরিমাণে শাকসবজি ও ফলের রস খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে রোজায় পানি ও তরল খাবার কম খাওয়া হয় বা খাবার সুযোগ কম থাকে। গ্রীষ্মকালে রোজা হলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। হৃদরোগের ক্ষেত্রে অনেক ওষুধ খেতে হয় বলে কোনো কোনো ওষুধের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল খাবার এবং আঁশযুক্ত খাবার- শাকসবজি, ইসুবগুলের ভুসি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানো সম্ভব।
শ্বাসকষ্ট বাড়লে রোজা অবস্থায় হৃদরোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়লে প্রয়োজনে অক্সিজেন ও ইনহেলার লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। ইনহেলারের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করে এমন ইনহেলার ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।
ডায়াবেটিস থাকলে ডায়াবেটিস রোগী ইনসুলিননির্ভর হলে সেহরির আগে ও প্রয়োজনে ইফতারির আগে ইনসুলিন নিতে পারেন।
রোজা অবস্থায় হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য রোজা অবস্থায় হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য ইসিজি, ইকো করতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু ইটিটি যেহেতু শ্রমসাধ্য ও প্রচুর ঘাম হতে পারে তাই রোজা রাখা অবস্থায় অধিক কষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙার পর সন্ধ্যার পরে ইটিটি করা যেতে পারে।
Discussion about this post