হার্টবিট ডেস্ক
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের নিরন্তর প্রচেষ্টার সমালোচনা না করে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএসএমএমই’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার স্বাক্ষরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কেউ কেউ এই নিরন্তর প্রচেষ্টার কথা বিবেচনায় না নিয়ে উল্টো সমালোচনা করছেন।
বিবৃতিতে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ রাষ্ট্রপতি তাকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই করোনা মোকাবিলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন।
ইতোমধ্যে ব্লকে কেবিনের শয্যা সংখ্যা ২০০ তে এবং আইসিইউ বেড বৃদ্ধি করে ২০টি উন্নীত করা হয়। বেতার ভবনে ১০০ শয্যার নতুন করোনা ইউনিট চালু করা হয়। বেতার ভবনে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৫০টি শয্যা চালু রয়েছে এবং আরো ৫০টি শয্যা চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কেবিন ব্লকে আরো ১০টি আইসিইউ বেড বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। এখানে করোনা ইউনিটের শয্যা আরও বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই নিরন্তর প্রচেষ্টার পরও কেউ কেউ তার মনগড়া বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অপপ্রচার করছে। গুজব ছাড়াচ্ছে। অহেতুক সমালোচনা করছে। যা কোনোভাবেই কাঙ্খিত নয়।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় এবং রোগী না থাকায় সরকার বাস্তবিক কারণেই বসুন্ধরায় অস্থায়ীভাবে করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু গত ৩ সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সরকার ইতোমধ্যেই নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মহাখালীর আইসোলেশন সেন্টারে ২০০টি আইসিইউ শয্যাসহ ১২০০ শয্যার হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্তমান বাস্তবতায় যে সকল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা চালু রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সে সকল হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। সরকার ইতোমধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের সাথে যুক্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ১০০টি করে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনবাজি রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেন।
তবু তারা তাদের দায়িত্ব ও কতর্তব্য পালনে এতটুকু অবহেলা করেননি এবং সুস্থ হয়ে তাঁরা চিকিৎসাসেবা প্রদানের মহতী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, যা মানবসেবার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার অনলাইন পত্রিকাসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
Discussion about this post