হার্টবিট ডেস্ক
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে প্রজ্ঞাপনে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সবধরনের গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড দেখানো সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের হাতে কিছু সময় আছে। এখনও নানা বিষয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। তবে যারা টিকা নিতে চান, তারা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় যাবেন। পথে তাদের কেউ বাধা দেবেন না।’
এদিকে এই একসপ্তাহের মধ্যে যাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নির্ধারিত দিন থাকবে, তাদের টিকা নিতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্রোরা। তিনি বলেন, ‘প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহ যদি কেউ নাও বের হতে পারেন, তাতে সমস্যা হবে না। যদি দেখি যে, লকডাউন বেশি লম্বা হয়, সেক্ষেত্রে নতুন কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে।’
Discussion about this post