হার্টবিট ডেস্ক
খাগড়াছড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো তিন জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় বর্তমানে ৬১ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন।এদের মধ্যে ৫ জন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নিজ বাসায় রয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮শ ৬৪ জন। সুস্থ হয়েছে ৮শ ৩ জন।
এদিকে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চালু হচ্ছে সেন্টাল অক্সিজেন প্লান্ট। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে প্রায় সব ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ইউনিট চালুর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে জেলার ৯টি উপজেলার বাইরেও রাঙামাটির বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে। এই হাসাপাতালে সরকারি অর্থায়নে বসানো হচ্ছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিরবচ্ছিন্ন ও অব্যাহত রাখতে এই উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)। কাজটির বরাদ্দ ধরা রয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৮ টাকা।
হাসপাতালের পেছনে প্রায় ৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করেছে। ১০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন থেকে ১৩৯টি পোর্ট রাখা হয়েছে। প্লান্টের বাইরে বিকল্প হিসাবে ৪৮টি বড় সিলিন্ডার স্থাপন করা হয়েছে। প্লান্টে অক্সিজেন না থাকলেও সিলিন্ডার থেকেও হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।
খাগড়াছড়ির আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, করোনার আগেও আমরা রোগীদের আমরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন সেবা দিতে পারতাম না। কিছুদিন পর পর চট্টগ্রাম থেকে রিফিল করে আনতে হতো। এখন সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু হলে হাসপাতালে রোগীদের সেবা আরও সহজ হয়ে যাবে। হাসপাতালে দুটি ভেন্টিলেটর রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হবে।
এদিকে হাসপাতালে আলোর মুখে আইসিইউ। হাসপাতালে আইসিইউর জন্য ৬ বেডের একটি ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযুক্ত রাখা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নূপুর কান্তি দাশ বলেন, আমরা দুটি ভেন্টিলেটর পেয়েছি। সেন্ট্রাল অক্সিজেনও সহসা চালু করতে পারবো। এখন আইসিইউর জন্য ইউনিট স্থাপনের কাজও শেষ করেছি। আশা করি, সব ঠিক থাকলে আইসিইউ স্থাপনের কাজও খুব দ্রুত শুরু করা যাবে। এতে জেলাবাসী চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
Discussion about this post