হার্টবিট ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
দেশে করোনা সংক্রমণ কতটা বেড়েছে সেটা কেবল গত ৭ দিনের হিসাব দেখলেই বোঝা যায়। গত ৭ দিনে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার।
গত বছরের ৮ মার্চ তিন করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই থেকে টানা সাত দিনে কখনও এত রোগী শনাক্ত হননি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৩ এপ্রিল রোগী শনাক্ত হন পাঁচ হাজার ৬৮৩ জন, ৪ এপ্রিল সাত হাজার ৮৭ জন, ৫ এপ্রিল সাত হাজার ৭৫ জন, ৬ এপ্রিল সাত হাজার ২১৩ জন, ৭ এপ্রিল সাত হাজার ৬২৬ জন, ৮ এপ্রিল ছয় হাজার ৮৫৪ জন এবং আজ ৯ এপ্রিলে শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ৪৬২ জন, যা কিনা এ যাবৎকালে দেশে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত।
দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনা শনাক্ত হলেন ছয় লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন, আর মারা গেছেন ৯ হাজার ৫৮৪ জন।
সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে দেশে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করেছে। কমিটি বলছে, অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলেও মত দিয়েছে কমিটি।
এদিকে, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়ার কথা চিন্তা করছে সরকার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।’
Discussion about this post