হার্টবিট ডেস্ক
ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী করোনার ভ্যাকসিনের টিকা গত মাসে আমরা পাইনি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। টিকার ব্যাপারে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী চালান কবে আসবে দু-চার দিনের মধ্যেই জানা যাবে।
মঙ্গলবার ( ৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামনে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। প্রথম ধাপের ডোজ চলমান রয়েছে। টিকা আমরা আশা করি পেয়ে যাবো। বেক্সিমকোর মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমরা টিকা পাচ্ছি। তারা আশ্বস্ত করেছে পরবর্তী চালান এই মাসে আমরা পাবো। আপনারা জানেন গত মাসে আমরা টিকা পাইনি। শুধু ১২ লাখ টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছি। কেনা টিকা পাইনি। দু-চার দিনের মধ্যে একটি কনফার্ম নিউজ আমরা পাবো। আমরা প্রতিনিয়ত তাগাদা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা ১১গুণ বেড়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে হাসপাতালগুলোতে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। বর্তমানে রাজধানীতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫০০০ বেড রয়েছে। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে সে হারে বাড়লে চিকিৎসা দিয়ে কুল পাওয়া যাবে না। সমীক্ষায় দেখতে পেয়েছি, যারা কক্সবাজার, বান্দরবানে অবকাশ যাপন করতে গিয়েছিলেন এবং যারা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেননি তারাই করোনায় সংক্রমিত বেশি হয়েছেন
আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে তিনি আরও বলেন, সরকার নির্ধারিত ১৮ দফা জনগণকে মেনে চলতে হবে। লকডাউনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে এবং বিক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু লোকজন লকডাউন মানতে চায়নি। এসব বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের বিভিন্ন জেলায় ডিসি-এসপিরা আছেন উনারা কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
Discussion about this post