হার্টবিট ডেস্ক
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সর্বোচ্চসংখ্যক ৫১৮ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।চট্টগ্রামের বিশেষায়িত প্রথম কোভিড-১৯ চিকিৎসাকেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার একটি আইসিইউ শয্যাও খালি ছিল না। এখানে মোট ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ শয্যা ১৪০টি। তার মধ্যে ৮০টিতে রোগী ছিল।
রোগীর চাপে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত কমে যাচ্ছে সাধারণ শয্যাও।
হাসপাতালের কোভিড ব্যবস্থাপনার প্রধান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. আবদুর রব বলেন, গতকাল থেকে আইসিইউ শয্যার জন্য ফোন আসছে। কিন্তু আমরা দিতে পারছি না। কোনো আইসিইউ শয্যা খালি নেই। সাধারণ শয্যাও ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। যে হারে রোগী বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২০০ রোগীকে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১০টি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এখানে রোগী ছিলেন ১৫০ জনের বেশি। আইসিইউতে ৮ জন রোগী ছিলেন। দুটি জরুরি প্রয়োজনের জন্য রাখা হয়েছে।
একইভাবে বিআইটিআইডি হাসপাতালের ৩২টি শয্যার একটিও খালি নেই বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ন কবীর বলেন, বৃহস্পতিবার রোগী ছিল ১৩৭ জন। আজ সকাল থেকে সেটা বেড়ে গেছে। এখন দেড় শ জনের বেশি। ২০০ জন পর্যন্ত সেবা দেওয়া যাবে।
একইভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও আইসিইউ এবং সাধারণ শয্যায় টান পড়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ৯২টি কোভিড শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি আইসিইউ এবং এইচডিইউ শয্যা। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবু সাঈদ বলেন, ‘৯৫ জন রোগীকে এখন চিকিৎসা দিচ্ছি অতিরিক্ত শয্যা ব্যবহার করে। এখন হাসপাতালের কেউ আক্রান্ত হলে কীভাবে চিকিৎসা দেব, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।’
একইভাবে নগরের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতাল ও ম্যাক্স হাসপাতালেও কোনো শয্যা খালি নেই। পার্ক ভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আইসিইউ ১০টিই পূর্ণ রয়েছে। আর ৫৬ সাধারণ শয্যার বিপরীতে রোগী রাখা হয়েছে ৬২ জন।
এই অবস্থায় ভবিষ্যৎ চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে প্রশাসন। জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবীর প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি সত্যি ভালো নয়। মানুষ কোনো বিধিনিষেধ মানেনি। তাই এই অবস্থা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে কিছু শয্যা খালি রয়েছে। ঢাকায় পুরোপুরি ভর্তি। কিন্তু যে হারে চট্টগ্রামে রোগী বাড়ছে, তাতে কীভাবে সেবা দেব, ভাবিয়ে তুলছে। তিনি আরও বলেন, ‘বিকল্প হিসেবে আমরা হলি ক্রিসেন্ট ও রেলওয়ে হাসপাতাল পুনরায় চালু করব। পর্যাপ্ত অক্সিজেন হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা রয়েছে। আইসিইউতে খালি নেই। যদিও হাইফ্লো নাজাল ক্যানুলা বেশি দরকার।’
Discussion about this post