ডা. জাহেদ পারভেজ, কনসালট্যান্ট, ডা. জাহেদস হেয়ার অ্যান্ড স্কিন, পান্থপথ, ঢাকা
মাথার ত্বকে বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ হতে পারে। চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ সংক্রমণ। চিকিৎসা করা না হলে ক্রমেই চুল কমতে থাকে। কাজেই মাথার ত্বকের কোনো সংক্রমণকেই অবহেলা করা চলবে না।
আমাদের চুলের ফলিকল থাকে মাথার ত্বকে। সেখান থেকেই চুল গজায় এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়ে। মাথার ত্বকের সুস্থতার ওপর চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। মাথার ত্বকে সংক্রমণ হলে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, চুল পড়ার হার অনেক বেড়ে যায়।
কিছু ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে মাথার
ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। অনেক সময় চুলকাতে চুলকাতে ঘা কিংবা একজিমাও হতে পারে।
সংক্রমণ হলে চুলের গোড়ায় ব্যথা হয় বা গোড়া ফুলে ওঠে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে কেরিয়াল। চুলের গোড়া কালো হয়ে যাওয়া, প্রচুর চুল পড়া, চুলের গোড়ায় ছোট ছোট গোটা বা ফোসকার মতো হওয়া এবং অল্প ফুলে ওঠা সংক্রমণের লক্ষণ। অনেক সময় দানা বা গোটাগুলো পুঁজভর্তি হতে পারে। চুলকালে রক্তও বের হতে পারে। এ ছাড়া মাথার ত্বকে চুলকালে দানা বা সাদা খোসার মতো ময়লা পড়ে।বিজ্ঞাপন
অনেক সময় চুল পড়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, চুলের গোড়ায় সংক্রমণ রয়েছে। শুরুতেই এর চিকিৎসা করা দরকার। সংক্রমণের ধরনের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালু ও ধোঁয়ার কারণে ত্বক ময়লা হয়। এতে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য সংক্রমণের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকে মনে করেন, রোজ বা ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে। কিন্তু উষ্ণ দেশে, বিশেষ করে বাইরে বের হলে এবং ধুলাবালুর সংস্পর্শে এলে প্রয়োজনে প্রতিদিনই শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজন পড়তে পারে। যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাদের বেশি ময়লা জমে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির বালিশ, তোয়ালে, চিরুনি ইত্যাদি ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বস্তু ব্যবহার করলেও সংক্রমণ হতে পারে। কাজেই অন্যের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের জিনিসপত্রও অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়া চলবে না।
Discussion about this post